নূর বার্তা সংস্থা : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ আলেম ও বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলীদ হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা জাফর সুবহানি বলেছেন যে, পবিত্র কোরআন ইসলামের সত্যতার চিরন্তন মোজেযা। আল্লাহ যখন হযরত মুহাম্মাদকে (সা.) মানব জাতির হেদায়েতের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন, সেদিন থেকেই তাকে এ আসমানি কিতাবকে মোজেযা হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, পবিত্র কোরআন ইসলামি সভ্যতার ধারক ও বাহক।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইমাম আলী (আ.) দারুল কোরআন ইনস্টিটিউটের কোরআন ফেষ্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ শনিবার ১৮ই ফেব্রুয়ারী ও বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলীদ হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা জাফর সুবহানি’র প্রদত্ত বাণী পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। তিনি পবিত্র কোরআনের নিম্নের আয়াত উল্লেখ করেন
إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ
নিশ্চয়ই এ পবিত্র কোরআন জাতিসমূহের হেদায়েত ও দিকনির্দেশনা দান করে।
আল্লাহ রাসূল (সা.) যখন আরবের কুরাইশ কাফিরদের নিকট ইসলামের ডাক দিয়েছিলেন, সেদিন তারা রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার শত চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি পবিত্র কোরআনকে তার নব্যুয়্যাতের সত্যতার ক্ষেত্রে অকাট্য মোজেযা হিসেবে তুলে ধরেন। তখন থেকে আজ অবধি পৃথিবীর কোন ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠির পক্ষে এ কোরআনের মোকাবেলায় একটি মাত্র আয়াতও আনতে পারে নি।
তিনি বলেন: পবিত্র কোরআন ইসলামি সভ্যতার ধারক ও বাহক। এ কোরআন এমনই এক সময় অবতীর্ণ হয়, যখন পৃথিবীর মানুষ অজ্ঞতা ও মূর্খতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। কিন্তু পবিত্র কোরআন সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম সভ্যতা ও সংস্কৃতি মানুষকে উপহার দেয়; যে সভ্যতার কোন নজির আজ পর্যন্ত কেউ উপস্থাপন করতে পারে নি।