নূর বার্তা সংস্থা: লেবাননের জনপ্রিয় আস সাফির দৈনিকের সাথে আলাপকালে হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন: সিরিয়ার অস্ত্রধারী বিদ্রোহীদের প্রতিরোধে যদি হিজবুল্লাহর নিবেদিত প্রাণ সদস্যরা যথা সময়ে সিরিয়াতে প্রবেশ না করত, তাহলে এখন লেবাননের রাজধানী বৈরুত সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএসআইএল-এর জঙ্গিদের দখলে থাকত।
তিনি গত সোমবার দক্ষিণ লেবাননের ‘ইমাম মাহদী (আ.)‘র অগ্রবাহিনী‘র ও কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন: সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর দমনে হিজবুল্লাহ বাহিনীর সাহসিকতা
ও দৃঢ়তার কারণে সেখানকার অন্যতম সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আইএসআইএল লেবাননের উপর আগ্রাসনের ধৃষ্টতা দেখাতে পারেনি।
তিনি মসুলসহ ইরাকের কোনো কোনো অঞ্চলে আইএসআইএল-এর সন্ত্রাসীদের প্রবেশের কথা উল্লেখ করে এ ব্যাপারে ইরাকের পবিত্র নাজাফের আলেম সমাজের অবস্থানর প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেছেন: শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতারা ইরাককে রক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় অস্ত্র হাতে তুলে নিতে জনগণের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা বিশেষ কোনো মাজহাবের প্রতি সমর্থন নয়।
ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সর্বপ্রথম (কয়েকটি ছোট যুদ্ধসহ দু‘টি বড় যুদ্ধে) পরাজিত করার গৌরবের অধিকারী এই ইসলামী নেতা আরো বলেছেন, মার্কিন ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি সরকার ইরাককে অস্থিতিশীল করার ঘটনায় জড়িত এবং তারা এইসব ঘটনা থেকে ফায়দা তুলছে।
‘অনেক বিষয় তোমাদের জন্য তিক্ত মনে হলেও তাতে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে‘ পবিত্র কুরআনের এই আয়াতের কথা তুলে ধরে জনাব নাসরুল্লাহ বলেছেন, কাউকে ধর্মীয় পবিত্রতাগুলোর প্রতি অবমাননার সুযোগ দেয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে।
তিনি লেবাননে নিরাপত্তা ফিরে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এর অর্থ শতভাগ নিরাপত্তা ফিরে আসেনি, তাই সার্বক্ষণিক সতর্কতা বজায় রাখা অপরিহার্য।
সিরিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য ও সেখান থেকে সন্ত্রাসীদের লেবাননে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর পর থেকে সিরিয়ায় যুদ্ধের চিত্র আসাদ সরকারের বেশ অনুকূলে চলে আসে। লেবাননের পাশ্চাত্যপন্থী দলগুলো সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করলেও হিজবুল্লাহর প্রধান বলেছিলেন, সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার কারণে একদিন সবাই আমাদের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।