নূর বার্তা সংস্থা: ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার সন্ধ্যায় হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সর্বোচ্চ নেতা গাজায় বর্বর ইহুদিবাদীদের চলমান পাশবিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, গত ৬৬ বছরে ইসরাইল বহুবার ফিলিস্তিনিদের ওপর এরকম পাশবিক হামলা চালিয়ে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। কেউ যদি ভেবে থাকেন, গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ না করলে ইহুদিবাদীরা সেখানে হামলা চালাতো না তাহলে তিনি চরম ভুলের মধ্যে রয়েছেন।
জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা তো এখনো অস্ত্র হাতে নেয় নি; তারপরও তো তাদের সঙ্গে ইসরাইল বর্বরোচিত আচরণ করছে, তাদের হত্যা করছে, ধরে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, সাবেক পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত ইসরাইলের সমর্থনে এত কিছু করার পরও ইহুদিবাদীরা তার দপ্তর মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।
হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী বলেন, কাজেই ইসরাইলকে অবশ্যই নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে, সেখানকার সব ইহুদিকে হত্যা করতে হবে; বরং ফিলিস্তিনের মূল অধিবাসীদের মধ্যে একটি গণভোট দিতে হবে। সেই গণভোটে ফিলিস্তিনের মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিষ্টান অধিবাসীরা তাদের সরকার ও জাতি-রাষ্ট্র নির্বাচন করবে। এভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে ফেলা সম্ভব।
কিন্তু যতক্ষণ তা না হচ্ছে ততক্ষণ তিনি ফিলিস্তিনি জনগণকে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদেরও উচিত গাজাবাসীর মতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়া। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী ইসরাইল ও তার সমর্থকরা আজ গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ, গাজাবাসীর সশস্ত্র প্রতিরোধ ইসরাইলকে অসহায় করে তুলেছে। এ থেকে বোঝা যায়, ইহুদিবাদীরা অস্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আগামীকাল শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিলে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।