নূর বার্তা সংস্থা: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইরানের বৃহত্তম ঈদের জামায়াত গতকাল ঈদুল ফিতরের দিন তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোসাল্লা ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এ জামায়াতে অন্তত ১০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ঈদের নামাজের খোতবায় সর্বোচ্চ নেতা ও ইসলামী বিপ্লবের মহামান্য রাহবার গাজা পরিস্থিতিকে বর্তমান মুসলিম বিশ্বের প্রধান সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব মানবতার উচিত গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী বন্য পশুদের বর্বরোচিত হামলা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্তমানে গাজায় যা করছে তা হচ্ছে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান ও একটি ঐতিহাসিক বিপর্যয়। মানবতা বিরোধী এ অপরাধে জড়িতদের পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষকদের প্রত্যেককে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী বলেন, হামাসের অকুতোভয় যোদ্ধারা সীমাবদ্ধ শক্তি নিয়ে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাতে সবার জন্য শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। সত্যের পথে ঈমানি শক্তি নিয়ে লড়াই করলে যে বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনীকেও পরাভুত করা সম্ভব তা হামাস দেখিয়ে দিয়েছে। গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনী মারাত্মক ফাঁপড়ে পড়েছে। না সামনে এগুতে পারছে না পিছিয়ে যেতে পারছে। একদিকে পিছিয়ে গেলে আত্মসম্মানে বাধে অন্যদিকে হামাস যোদ্ধারা তাদেরকে সামনে এগুতে দিচ্ছে না। মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে এই মহা মুসিবত থেকে উদ্ধারের জন্য ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’র আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু পাশ্চাত্যের জানা উচিত, গাজা যুদ্ধে হামাসের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ফিলিস্তিনিরা যাতে ইহুদিবাদী বন্য পশুদের আগ্রাসনের মোকাবিলায় আত্মরক্ষা করতে না পারে সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে গাজাকে নিরস্ত্র করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ অবস্থায় মুসলিম বিশ্বের উচিত যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনি জাতিকে সশস্ত্র করে তোলা।