Uncategorised

১৪ মাসূম সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব

১৪ মাসূম ব্যক্তি যাঁদের অন্তর্ভুক্ত সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব

নূর বার্তা সংস্থা : মাত্র ১৪ মাসূম ব্যক্তি যাঁদের অন্তর্ভুক্ত সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্ব শ্রেষ্ঠনবী খাতামুল আম্বিয়া ওয়ার রুসুল হযরত মুহাম্মদ (সা:) , সর্বশ্রেষ্ঠা নারী এবং বেহেশতবাসী সকল নারীর নেত্রী হযরত ফাতিমা ( আ:) এবং  বারো নিষ্পাপ ইমাম ( আ: )। অকাট্য প্রামাণিক সূত্রে প্রতিষ্ঠিত ও সকল ইসলামী ফির্কা ও মাযহাবের কাছে গৃহীত মকবূল বারো ইমামের হাদীস এবং নিশ্চিত সন্দহাতীত ভাবে সকল ফির্কা ও মাযহাবের কাছে গৃহীত ( মকবূল ) যুগের ইমামের আনুগত্যের হাদীস ,  উলিল আমরের আনুগত্যের আয়াত ও এ আয়াতের শানে নুযূলে মহানবী (সা:) থেকে নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত সহীহ প্রামাণিক সূত্রে প্রতিষ্ঠিত হাদীস সমূহ এবং পবিত্র কুরআনের আরও বহু আয়াত ও সকল ইসলামী ফির্কা ও মাযহাবের কাছে গৃহীত , প্রতিষ্ঠিত সহীহ হাদীস সমূহের আলোকে প্রমাণিত হয় যে উম্মতের হিদায়তের জন্য আহলুল বাইত ও পবিত্র কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবেন এবং এ দুভয় কখনোই পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না। ))
—–
সুতরাং পরকালে মুক্তি ও বেহেশতবাসী যুবকদের নেতৃদ্বয় ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনের নেতৃত্বের ছায়াতলে বেহেশতে থাকতে হলে পবিত্র কুরআন ও আহলুল বাইতকে ( আ:) আঁকড়ে ধরার আর কোনো বিকল্প নেই । তাই এ পথ ছাড়া অন্য যে কোনো পথে নাজাত নেই । অন্য যে কোনো পথই হচ্ছে গাদ্দারদের পথ : ভ্রষ্ট ও বিচ্যুত পথ। )))

ইব্রাহীম নাখয়ী বলেছেন : ” যারা হুসাইনের ( আ: ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে আমি যদি তাদের অন্তর্ভুক্ত হতাম এবং এরপরে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হত তাহলে আমি বেহেশতে রাসূলুল্লাহর ( সা:) দিকে তাকাতেই লজ্জাবোধ করতাম । ” ( দ্র : তাহযীবুত তাহযীব , খ : ২ , পৃ : ৩৫৫ )

তাই এই গাদ্দারদের পথ পরিত্যাগ করে যারা পবিত্র কুরআন এবং ইমাম হুসাইন (আ:) ও রাসূলুল্লাহর (সঃ) আহলুল বাইতের (আ:) পথে থাকবে তারাই হবে পরকালে সফলকাম । কারণ পবিত্র কুরআন ও নূরনবীর (সাঃ) পথই হচ্ছে তাঁর (সঃ) ইতরাত অর্থাৎ তাঁর (সঃ) অতি নিকটাত্মীয় ও রক্তজ বংশধর আহলুল বাইত ( আ: ) ও বিশেষ করে সাইয়েদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইনের (আ:) পথ যা হচ্ছে সিরাত – ই মুস্তাকীম অর্থাৎ সরল সঠিক পথ ( হিদায়তের পথ )। বরং তাঁরাই ( আহলুল বাইত -(আ:) – অর্থাৎ ইমাম ও হাদীগণই ) হচ্ছেন স্বয়ং সরল সঠিক পথ । মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইমাম হুসাইন (আ: ) ও আহলুল বাইতের (আ:) খাঁটি অনুসারী মুহিব্বীনের অন্তর্ভুক্ত  এবং গাদ্দারদের থেকে পৃথক করে দিন ।

আশুরার দিবসে এটাই হোক মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের একান্ত প্রার্থনা ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

লেখক সম্পর্কে

Admin

মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.