আকাঈদ ইমামত

হযরত রসূল(স.)’র হাদিসে বারো ইমামের নাম, name of twelve imam in the hadees of nabi (s.a.w)

By: Dr. Muhammad Rizwan Salam Khan (P.H.D)

আল-মুস্তাফ (স.) বিশ্ববিদ্যালয়, কুম, ইরান
জাবির বিন ইয়াজীদ-এ-যোফী থেকে বর্ণিত: জাবির যোফি বলেন: আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারীকে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (স.) আমাকে বলেছেন যে, হে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ! আমার আওসিয়া (ওসীর বহুবচন) এবং মুসলমানদের ইমাম আমার পরে যারা হবে, তার মধ্যে সর্বপ্রথম হযরত আলী (আ.), তাঁর পর হযরত হাসান (আ.) তাঁর পর হযরত হোসেন (আ.) তাঁর পর হযরত হোসেন (আ.), তাঁর পর হযরত আলী ইবনে হোসায়েন (অর্থাৎ: যয়নুল আব্দীন (আ.)) তাঁর পর মুহম্মদ বিন আলী ওরফে বাকের (আ.), হে যাবির! অতি সত্ত্বর তুমি তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে, যখন তুমি তাঁর সাথে মোলাকাত করবে তখন আমার সালাম জানাবে। অত:পর জাফর ইবনে মুহম্মদ আল-বাকের (আ.) তাঁর পর মুসা বিন জাফর আল-সাদিক (আ.)। তাঁর পর আলী বিন মুসা আল-রেজা (আ.)। তাঁর পর মুহম্মদ বিন আলী (আল-তক্বী) (আ.)। তাঁর পর আলী বিন মুহম্মদ (আল-নক্বী) (আ.)। তাঁর পর হাসান বিন আলী (আল-আসকারী) (আ.)। তাঁর পর কায়েম ইমাম হবেন, তাঁর নাম আমার নাম, তাঁর উপাধি আমার আমার উপাধি হবে। তিনি মুহম্মদ বিন হাসান বিন আলী হবেন। তিনি নিজের মান্যকারীদের হতে নির্দিষ্ট কালের জন্য অদৃশ্য থাকবেন। সেই যুগে তাঁরা সঠিক পথে থাকবেন যাদের অন্তরে ঈমানের পরিক্ষা আল্লাহ তায়ালা নিয়ে নিয়েছেন। আমি (জাবির) জিজ্ঞাসা করলাম: হে আল্লাহর রসূল (স.) তাঁর অদৃশ্য থাকার ফলে মানুষের কি কোন লাভ হবে।
-উত্তরে হযরত রসূল (স.) বললেন: হ্যাঁ, সেই সত্তার কসম যে আমাকে নব্যুয়তের দায়ীত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন, সেই যুগের লোকেরা তাঁর অদৃশ্যকালে তাঁর অভিভাবকত্বের আলোর জ্ব্যোতী হবে সেই ভাবে উপস্থিত হবে যেমন বাদল সূর্য্যকে ঢেকে দেওয়ার পর মানুষ সূয্যের রশ্মী থেকে উপকৃত হয়ে থাকে। এটি একটা আল্লাহর গোপন রহস্য, আল্লাহর জ্ঞানের গভিরের রহস্যের মধ্যে লুকায়িত আছে। তাঁকে তার নিজের পরিবার ও পরিজন ছাড়া সকল থেকে অদৃশ্য রাখা হবে।
অত:পর জাবির যোফি বললেন: তার পর যখন জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী ইমাম আলী ইবনে হোসায়েন (যয়নুল আব্দীন (আ.)-এর খেদমতে হাজীর হলেন, তখন হঠাৎ মুহম্মদ বিন আলী (ওরফে বাকের) নিজের গ্রহ থেকে বের হলেন, জাবির আপনার (বাকের (আ.))-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে; আরজ করলেন: হে আমার মাওলা! আপনার নানা রসূলুল্লাহ (স.) আমাকে বলেছিলেন যে যখন তুমি তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন আমার সালাম তাঁকে জানাবে, এবং আমাকে সর্তক করে দিয়ে ছিলেন যে আপনারা তাঁর (রসূল (স.)-এর) পরে তারঁ (স.) আহলে বায়েতের পক্ষ হতে জনগণের জন্য হেদায়েতের ইমাম হবেন। বাল্যকাল হতে সমস্ত মানব জাতির থেকে সবথেকে বিবেকবান এবং যুবক হওয়ার পর সকলের থেকে বেশী জ্ঞানী হবেন।
অত:পর হুজুর (স.) বললেন: তাঁদের (আহলে বায়েতের) জ্ঞান দিতে যেওনা; তাঁরা তোমাদের থেকে অনেক অনেক জ্ঞানী।
অত:পর ইমাম মুহম্মদ বাকের (আ.) এরশাদ করলেন: আমাদের হুকুম (জ্ঞান) বাল্যকাল থেকে দান করা হয়েছে। আর এটা আল্লাহর তরফ থেকে আমদের উপর বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ।
সূত্র : এনাবিউল মুয়াদ্দাহ : পৃষ্ঠা ৯৪। লেখক : আল্লামা শেখ ‘সোলায়মান হোসায়নী’ বলখী, কন্দুযী, হানাফী, সুন্নী, মুফতী এ আযম কুসতুনতুনিয়া।
বারজন খলীফা বা আমীর বা ইমাম হওয়ার বিষয়ে যে হাদীসটি পাওয়া যায় তা প্রায় পনেরজন সাহাবী থেকে বর্নিত হয়েছে তাদের নাম এই রুপ

…..(১)جابر بن سمرة السوائي
২)أبو جحيفة ( وهب السوائي)
৩)عبد الله بن عمرو
৪)عبد الله بن مسعود
৫)عبد الله بن عمر
৬)أنس بن مالك
৭)عبد الله بن عباس
৮)سلمان الفارسي
৯)عامر بن سعد
১০)عبد الملك بن عمير
১১)سماك بن حرب
১২)العباس بن عبد المطلب
১৩)عائشة بنت أبي بكر
১৪)أبو هريرة
১৫)أبو سلمة راعي رسول الله
আর এই সমস্ত সাহাবীদের বর্ননা করা হাদীস এই রুপ…..عدد الخلفاء اثنا عشر خليفة
الخلفاء الإثنا عشر عدد نقباء بني إسرائيل
جميع الخلفاء الإثني عشر من قريش
جميع الخلفاء الإثني عشر من بني هاشم
الإسلام منيع بوجود الخلفاء الإثني عشر
الدين عزيز منيع بوجود الخلفاء الإثني عشر
الدين قائم بوجود الخلفاء الإثني عشر
أمر الأمّة مستقيم بوجود الخلفاء الإثني عشر
أمر الأمّة صالح بوجود الخلفاء الإثني عشر
أمر الأمّة ماضٍ بوجود الخلفاء الإثني عشر
الدين ظاهر لا يضرّه الأعداء بوجود الخلفاء الإثني عشر
لا يضرّ الخلفاء الإثني عشر عداوة من عاداهم
الدين قائم إلى قيام الساعة بوجود الخلفاء الإثني عشر
تموج الأرض بأهلها مع عدم وجود الخلفاء الإثني عشر
يعمّ الدنيا الهرج إذا مضى الخلفاء الإثنا عشر
أول الخلفاء الإثني عشر علي وآخرهم القائم المهدي
الحسن والحسين وتسعة من ولد الحسين هم الخلفاء الإثني عشر
النبي يذكر الخلفاء الإثني عشر جميعاً بأسمائهم

লেখক সম্পর্কে

Admin

মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.