আকাঈদ

বৃহস্পতিবার রাতে ইমাম মাহদীর জন্য অনুষ্ঠান করা আমাদের কর্তব্য

নূর বার্তা সংস্থা : হুজ্জাতুল ইসলাম মোহসেন কারাতি বলেন, ইমাম মাহদীর সাংস্কৃতিকে সামাজে জীবন্ত ও বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার তার জন্য অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি আলেম পরিবার এমনকি সাধারণ পরিবারের উচিত পারিবারিকভাবে ইমাম মাহদীর জন্য অনুষ্ঠান পালন রকা। আর এভবেই সমাজে ইমাম মাহদীর চর্চা বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং মাহদাভি সাংস্কৃতির বিস্তার ও প্রসার ঘটেব।
তিনি ইমাম মাহদীর প্রকৃত অনুসারীদের সম্পর্কে বলেন: ইরানের ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম ব্যক্তিত্ব শাহীদ সায়িদি, একবার আবা ছাড়াই একটি মজলিসে প্রবেশ করলেন, তখন সবা্ই জিজ্ঞাসা করল, আপনি কেন এভাবে মজলিসে আসলেন, তখন তিনি বলেন: রাস্তায় একজন শীতে কাপছিল তাকে আমি আবাটা দিয়ে দিয়েছি।
ওস্তাদ কারাতি বলেন: একবার শহীদ সায়িদি বক্তব্য রাখছিলেন, তখন একজন বড় আলেম প্রবেশ করলেন, এমন সময় তিনি মেম্বার তেকৈ মেনে বললেন, হে জনতা তিনি হচ্ছেন আমার থেকে বড় আলেম সুতরাং আসুন আমরা তার বক্তব্য শুনি।
তিনি বলেন: ইমাম মাহদীর অনুসারীদের দায়িত্ব হচ্ছে ইমামকে সঠিকভঅবে চেনা। ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: من مات و هو عارف لامامه لم یضره تقدم هذا الامر او تأخر و من مات و هو عارف لامامه کان کمن هو مع الفائم فی فسطاطه
যে ইমাম (আ.)-কে সঠিকভাবে চিনে মৃত্যুবরণ করবে ইমামের আবির্ভাব দেরীতেই হোক আর নিকটেই হোক তার জন্য কোন ক্ষতির কারণ নয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইমাম (আ.)-কে সঠিকভাবে চিনে মৃত্যুবরণ করবে সে সেই ব্যক্তির ন্যায় যে, ইমাম (আ.)-এর তাবুতে তার পাশেই অবস্থান করছে।
এই পরিচিতি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে ইমামগণ (আ.) বলেছেন, তা অর্জন করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর দীর্ঘ অন্তর্ধানে বিপথগামিরা সন্দেহে পড়বে। ইমামের ছাত্র যুরারাহ বলল: ঐ পরিস্থিতির শিকার হলে কি করতে হবে? ইমাম (আ.) বললেন: এই দোয়াটি পাঠ করবে: اَللّهُمَّ عَرِّفْني نَفْسَکَ فَاِنَّکَ اِنْ لَمْ تُعَرِّفْني نَفْسَکَ لَمْ اَعْرِفْ رَسُولَکَ اَللّهُمَّ عَرِّفْني رَسُولَکَ فَاِنَّکَ اِنْ لَمْ تُعَرِّفْني رَسُولَکَ لَمْ اَعْرِفْ حُجَّتَکَ اَللّهُمَّ عَرِّفْني حُجَّتَکَ فَاِنَّکَ اِنْ لَمْ تُعَرِّفْني حُجَّتَکَ ضَلَلْتُ عَنْ ديني
উপরিউক্ত আলোচনায় সৃষ্টিজগতে ইমাম (আ.)-এর অবস্থানের পরিচয় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। তিনি আল্লাহর হুজ্জাত ,রাসূল (সা.)-এর প্রকৃত প্রতিনিধি এবং সর্বসাধারণের নেতা তথা ইমাম। তার আনুগত্য সবার জন্য ওয়াজিব ,কেননা তার আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যেরই অনুরূপ।
ইমাম (আ.) পরিচিতির অপর দিকটি হল তার সিরাত ও বৈশিষ্ট্যকে চেনা। এই পরিচিতি প্রতীক্ষাকারীর কার্যগত জীবনের প্রতিটি দিকে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ইমাম তথা আল্লাহর হুজ্জাতের জীবনের প্রতিটি দিকের সাথে মানুষের পরিচয় যত বেশী ঘনিষ্ট ও গভীর হবে তার প্রভাবও মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকে অধিক হবে।

লেখক সম্পর্কে

Admin

মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.