নূরবার্তা সংস্থা: রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় নাতি ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের কথা স্বরণ করে ক্রন্দন ও আযাদারি বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন সমস্ত চক্ষু ক্রন্দনরত থাকবে, কিন্তু যে চক্ষু ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্য ক্রন্দন করেছে সে চক্ষু ব্যতীত।
মাসুমীনের (আ.) দৃষ্টিতে ইমাম হুসাইনের (আ.) স্মরণে আযাদারির গুরুত্ব
মায়ারেফ বিভাগ: রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় নাতি ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের কথা স্বরণ করে ক্রন্দন ও আযাদারি বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন সমস্ত চক্ষু ক্রন্দনরত থাকবে, কিন্তু যে চক্ষু ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্য ক্রন্দন করেছে সে চক্ষু ব্যতীত।
সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) ক্রন্দনের অর্থ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অটলতা এবং মিথ্যা ও বাতিলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। কেননা ইমাম হুসাইন (আ.) ৬১ হিজরীর মহররম মাসে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদের দু:শাসনের বিরুদ্ধে এবং পবিত্র ইসলাম ও কোরআনের শিক্ষাকে রক্ষার্থে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেছেন। আর অপরদিকে ইয়াজিদি চক্র ভেবেছিল ইমাম হুসাইনকে (আ.) শহীদ করতে পারলে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত হবে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্নরূপ ধারণ করে। ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের পর মুসলমানরা তার শাহাদতের ইতিহাস স্বরণ করে নিজেদের ঈমানী চেতনাকে শানিত করে। কেননা তার শাহাদতের মধ্যে বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং সত্যের পথে অটল থাকার শিক্ষা রয়েছে।
এখানে আমরা ইমাম হুসাইনের শাহদতের স্বরণে ক্রন্দনের ফজিলত সম্পর্কে মাসুমীন (আ.) থেকে বর্ণিত কয়েকটি হাদীস তুলে ধরছি-
ইমাম রেযা (আ.) বলেছেন : ইমাম হুসাইনের (আ.) ক্রন্দন মানুষের গুনাহ মোচন করে।
ইমাম জাফর সাদীক (আ.) বলেছেন : যদি কেউ ইমাম হুসাইনের (আ.) ক্রন্দন করে করে বিন্দু পরিমাণ অস্রু বিসর্জন দেয়; তাকে সর্বোত্তম পুরুস্কারে ভুষিত করার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ। আর আল্লাহ তাকে বেহেশত প্রবেশ না করান পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবে না।
আরও একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্য ক্রন্দন করে কিংবা কাউকে ক্রন্দন করায়; তবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।