নূরবার্তা সংস্থা: ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনা উপস্থিতির কোনো আন্তর্জাতিক বা আইনি বৈধতা নেই। তিনি আরো বলেছেন,পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জনগণের ইচ্ছার বিপরীতে এখানে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা।
ইরান পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ‘উত্তেজনা’ ছড়াতে চায় বলে যে দাবি ওয়াশিংটন করেছে তা নাকচ করে দিয়ে শামখানি বলেন, হোয়াইট হাউজ তেহরানের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া যুদ্ধ চালাচ্ছে এটি তারই অংশ।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব বলেন, ইরানের গানবোটগুলোর হরমুজ প্রণালিতে মার্কিন রণতরীর খুব কাছাকাছি চলে যাওয়া কিংবা ইরানের আকাশসীমার নিকটবর্তী মার্কিন বিমানকে তেহরানের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়ার কথাবার্তা ছড়ানো মার্কিন গণমাধ্যমের অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস গত ৬ সেপ্টেম্বর দাবি করেন, একটি ইরানি স্পিডবোট হরমুজ প্রণালিতে টহলরত একটি মার্কিন রণতরীর ৯১ মিটারের মধ্যে চলে যাওয়ার পর রণতরীটি তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। ওই স্পিডবোটটি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র বলে তিনি জানান।
ডেভিস দাবি করেন, ইরানি বোটটি সোজা মার্কিন রণতরী ইউএসএস ফায়ারবোল্টের সামনে চলে আসলে এটি তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, গত রোববার ‘ইরানি আকাশসীমার কাছাকাছি’ হরমুজ প্রণালির আকাশে টহলরত মার্কিন নৌবাহিনীর দু’টি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দেয় ইরান।
তবে আইআরজিসি’র নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি আমেরিকার এসব দাবিকে ‘অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, “আইআরজিসি’র বোটগুলো মার্কিন রণতরী থেকে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় না রেখে সাংঘর্ষিক অবস্থায় চলে গিয়েছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ডাহা মিথ্যা।”