আকাঈদ

ইমাম হাসান(আ.)-এর দয়া ও বদান্যতা ইমাম মাহদীর রাষ্ট্রে বাম্তবায়িত হবে

নূরবার্তা সংস্থা: ইমাম মাহদীর রাষ্ট্র নিরাপত্তা, সম্মান মর্যাদা, দারিদ্রতা নিরাময় এবং ন্যায় পরায়নতার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হবে। আর ইমাম হাসান মুজতাবা(আ.) তার সময়ে এর সবই বাস্তবায়ন করেছিলেন।

ইমাম মাহদীর রাষ্ট্রে আধ্যাত্মিকতা ও ন্যায়পরায়নতা প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তনি দারিদ্রতা নিরাময় এবং সম্মানের ভিত্তিতে তা করবেন।

ইমাম হাসানকে কারিমে আহলে বাইত তথা আহলে বাইতের দয়ার সাগর বলঅ হয়। কেননা তিনি তার জীবনে অনেক বেশী দান খয়রাত করতেন। তিনি দুবার তার সকল সম্পদকে মানুসের মাঝে বিলি করে দেন। তিনি পায়ে হেটে হজ করতেন। তিনি কেউ তার অপমান করলেও তা ক্ষমা করে দিতেন।

পবিত্র রমজান মাসে আমরা যে দোয়াটি সর্বদা পড়ি তা হচ্ছে: হে আল্লাহ্‌! যারা কবরে শায়িত আছে তাদেরকে সুখ-কাননে প্রবেশ করাও। হে আল্লাহ্‌! সমস্ত দরিদ্রকে ধনী করো। হে আল্লাহ্‌! প্রতিটি ক্ষুধার্তকে তৃপ্ত কর। হে আল্লাহ্‌! বস্ত্রহীনদেরকে বস্ত্র পড়াও। হে আল্লাহ্‌! ঋণীদের ঋণ পরিশোধ করে দাও। দুঃখীদের দুঃখ দূর করে দাও। হে আল্লাহ্‌! মুসলমানদেরকে যাবতীয় বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত করো। হে আল্লাহ্‌! রোগীদের আরোগ্য দান করো। হে আল্লাহ্‌! তোমার প্রাচুর্যের দ্বারা আমাদের দারিদ্র্য মোচন কর। হে আল্লাহ্‌! আমাদের দুরাবস্থাকে তোমার সন্তুষ্টি দ্বারা সু-অবস্থায় পরিণত করে দাও। হে আল্লাহ্‌! আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদের দারিদ্র্য ও অভাব দূর করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশক্তিমান।

এই দোয়ার বাস্তবায়ন ইমাম হাসান মুজতাবা(আ.) তার জীবনে ও রাষ্ট্রে ঘটিয়েছেন এবং ইমাম মাহদীও তার রাষ্ট্রে এর বাস্তবায়ণ ঘটাবেন।

লেখক সম্পর্কে

Admin

মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.